বাবুনগরীকে শেষ বিদায় জানাতে হাটহাজারীতে মানুষের ঢল

অনলাইন ডেস্ক •

হেফাজতের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাজায় অংশ নিতে হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় ভিড় করেছেন হেফাজত নেতাকর্মীসহ অসংখ্য মানুষ। মাদরাসা প্রাঙ্গণে বাবুনগরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে আল্লামা শফীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত পৌনে ৯টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসায় আনা হয় বাবুনগরীর মরদেহ। এর আগে মরদেহটি তার গ্রামের বাড়ি ফটিকছড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরিবারের সদস্যদের দেখিয়ে রাতে হাটহাজারী মাদরাসায় আনা হয়।

বাবুনগরীকে শেষ বিদায় জানাতে রাত ৯টা থেকেই হাটহাজারীর দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসায় ভিড় করেন মানুষজন।

কুমিল্লার চান্দিনা থেকে জানাজায় অংশ নিতে আসা সাদেকুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাবুনগরী আমার শিক্ষক ছিলেন। হুজুর খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। তাই কুমিল্লা থেকে হুজুরকে শেষবারের মতো দেখতে ও জানাজায় অংশ নিতে চলে এসেছি।

কামরুল ইসলাম নামে ৫০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ফেনী থেকে জানাজায় অংশ নিতে এসেছেন। তিনি বলেন, বাবুনগীরকে শেষবারের মতো দেখতে চলে এসেছি।

হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর মোহাম্মদ ইদরিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাত ১১টায় হাটহাজারী মাদরাসা প্রাঙ্গণে বাবুনগরীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মানুষ যাতে জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারে তাই মাদরাসার আশপাশে মাইক লাগানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সিএসসিআর হাসপাতালে মারা যান জুনায়েদ বাবুনগরী। হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা মীর ইদরিস ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাড়ে ১২টার দিকে বাবু নগরীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

বাবুনগরীর খাদেম মাওলানা জুনায়েদ জানান, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান অনুসারীরা। ৬৭ বছর বয়সী আল্লামা বাবুনগরী দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন।

গত ৭ জুন মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীকে আমির এবং মাওলানা নুরুল ইসলামকে মহাসচিব করে ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট হেফাজতের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।